Posts

পুরনো দিনের গান আজো ভরে মন প্রাণ

হারিয়ে যাওয়া সেই গানের কলি, যদি মন দিয়ে শোন তবেই বলি, নেই সে কলের গান কুকুর মাথা রেডিও কিনল বিজ্ঞাপণ দাতা, এখন ক্যাসেট আর টেপরেকর্ডার, মনে মনে জানি তবু একটা শ্লোগান- পুরনো দিনের গান আজো ভরে মন প্রাণ, যতই শুনি যে গান, বিজাতীয় মডার্ণ!।। জানি একদিন হবে আমার জীবনীলেখা, মুখার্জী সতীনাথ বলতো এমন কথা ভুলিনি ইলাবসু নামে একজন যাকে, কোকিল শোনাত চৈতি হাওয়ার কথকতা! আর ঘুমের ছায়া নামে চাঁদের চোখে হায় অবসরে মনে পড়ে তালাতের গান।। বাংলার গানে যার নামেই বসন্ত, তিনিই গায়ক-সুরকার হেমন্ত ঝিনুকের সন্ধানে নির্মলা মিশ্র বনে নয় মনে আমাদের মানবেন্দ্র আর অখিল বন্ধু ঘোষ যতটা প্রতিভাবান পেলেন না তার যোগ্যতার সম্মান।। নীল চোখে যমুনাকে নীল দেখে মাধুরী, করেছেন অসংখ্য শ্রোতাদের মন চুরি, প্রতিমা, উৎপলা, মৃণাল আর কত নাম, এরাই তো আমাদের পূর্বসূরী। আর বিরহের কথা এলে, বুকের জ্বালা ভুলে আজো মাঝে মাঝে গাই-মান্না দে’র গান।

কি নামে ডেকে বলবো তোমাকে G

কি নামে ডেকে বলবো তোমাকে মন্দ করেছে আমাকে ঐ দু'টি চোখে।। আমি যে মাতাল হাওয়ারই মত হয়ে যেতে যতে পায়ে পায়ে গেছি জড়িয়ে কি করি ভেবে যে মরি বলবে কি লোকে।। পালাতে পারি নি আমি যে দিশাহারা দুটি চোখ যেন আমায় দিচ্ছে পাহারা। ধরা পড়ে গেছি আমি নিজেরই কাছে জানি না তোমার মনেও কি এত প্রেম আছে সত্যি যদি হয় বলুক যা বলছে নিন্দুকে।।

ময়ূরকণ্ঠী রাতেরও নীলে C#

ময়ূরকণ্ঠী রাতেরও নীলে আকাশে তারাদের ঐ মিছিলে তুমি আমি আজ চল চলে যাই শুধু দু’জনে মিলে।।   হয়তো পাবো না পথের ঠিকানা তবু যাব আজ ছাড়িয়ে সীমানা সাথী যদি হও পাশে থেকে মোর করিনা ভয় নিখিলে।।   আকাশ যদি ঢাকে ঘনঘটায় তারারা মেঘে মেঘে হারিয়ে যায়   যা আছে থাকনা করি না ভাবনা আঁধারে কুয়াশায় হারিয়ে যাব না মনেরও আলোয় চিনে নেব পথ তুমি ভরসা দিলে।। x

বনে নয় মনে মোর পাখি আজ গান গায়

বনে নয় মনে মোর পাখি আজ গান গায় এই ঝিরিঝিরি হাওয়া দোলা দিয়ে যায় গুনগুন গুনগুন ভ্রমরের ফাল্গুন ডাকে মোরে আয় আয় আয়।।   একি তবে রূপময় অপরুপ দিল ডাক স্বপনের সমারোহে বেলা আজ কেটে যাক সুর আর সুরভীতে উন্মনা মন যেন তারই সারা পায় এই ঝিরিঝিরি হাওয়া দোলা দিয়ে যায়।।   চম্পা বকুলের ভাঙে ঘুম, ভাঙে ঘুম চঞ্চল হলো আজ ফাল্গুন ভাঙে ঘুম। হায় তার সে চরণের সুর বাজে রুমঝুম রুমঝুম রঙে রুপে জানি না এ সুন্দর নীল আকাশ সে কি তবে এ জীবনে মধুরের উপহাস তার ফুল বাঁশরীতে এই আমি আপনারে যেন খুঁজে পাই এই ঝিরিঝিরি হাওয়া দোলা দিয়ে যায়।। x

ঐ মহাসিন্ধুর ওপার থেকে

ঐ মহাসিন্ধুর ওপার থেকে কি সঙ্গীত ভেসে আসে? কে ডাকে কাতর প্রাণে, মধুর তানে? আয় চলে আয় ওরে আয় চলে আয় আমার পাশে মহাসিন্ধুর ওপার থেকে কি সঙ্গীত ভেসে আসে।।   বলে আয়রে ছুটে, আয়রে ত্বরা হেথা নাইকো মৃত্যু, নাইকো জরা হেথা বাতাস গীতি-গন্ধভরা চির-স্নিগ্ধ মধুমাসে হেথা চির-শ্যামল বসুন্ধরা চির-জ্যোৎস্না নীল আকাশে।।   কেন ভুতের বোঝা বহিস পিছে? ভুতের বেগার খেটে মরিস মিছে? দেখ ঐ সুধাসিন্ধু উথলিছে পূর্ণ ইন্দু পরকাশে ভুতের বোঝা ফেলে ঘরের ছেলে আয় চলে আয় আমার পাশে   কেন কারাগৃহে আছিস বন্ধ? ওরে, ওরে মূঢ়, ওরে অন্ধ ভবে সেই সে পরমানন্দ, যে আমারে ভালবাসে কেন ঘরের ছেলে পরের কাছে পড়ে আছিস পরবাসে।। x

আমরা এমনি এসে ভেসে যাই

আমরা এমনি এসে ভেসে যাই  আলোর মতন, হাসির মতন কুসুমগন্ধরাশির মতন  হওয়ার মতন, নেশার মতন ঢেউয়ের মতন এসে যাই।। আমরা অরুণ-কনক কিরণে চড়িয়া নামি  আমরা সান্ধ্যরবির কিরণে অস্তগামী  আমরা শরৎ-ইন্দ্রধনুর বরণে  জ্যোৎস্নার মতো অলস চরণে  চপলার মতো চকিত-চমকে চাহিয়া ক্ষণেক হেসে যাই।। আমরা স্নিগ্ধকান্ত শান্তি সুপ্তি ভরা  আমরা আসি বটে, তবু কাহারে দিই না ধরা  (আমরা) শ্যামলে, শিশিরে, গগনের নীলে  গানে, সুগন্ধে, কিরণে-নিখিলে  স্বপ্নরাজ্য হতে এসে ভেসে স্বপ্নরাজ্য দেশে যাই দ্বিজেন্দ্রলাল রায়  Born: July 19, 1863, Krishnanagar, India Died: May 17, 1913, Kolkata, India x

যে ভাবেই তুমি সকাল দেখো

A যে ভাবেই তুমি সকাল দেখো সুর্য কিন্তু একটাই, যত ভাগে ভাগ করোনা প্রেম হৃদয় কিন্তু একটাই।। অনেকেই বলে মরণ অনেক জীবন সে নাকি একটাই, প্রতিবার প্রেমে নতুন জনম জীবন কি করে একটাই।। অনেকেই বলে অনেক কথা, কথার কথা তো সবটাই, কথার বাঁধনে হৃদয় ফেরার সঠিক কথা একটাই।। কথা ও সুর: নচিকেতা